প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কীভাবে হজ করেছিলেন, তা জানতে কার না ইচ্ছে করে। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জীবনে একবারই হজ করেছিলেন। ইতিহাসে তাঁর সে হজ ‘বিদায় হজ’ নামে প্রসিদ্ধ। দীদারে বাইতুল্লাহর সময় মাহবুবে খোদার মনের কী অবস্থা ছিল, তা তো আলিমুল গাইব-ই বলতে পারেন। কিন্তু বাহ্যিকভাবে কেমন ছিল তাঁর সে প্রেমসিক্ত হজ, এর বিবরণী পাওয়া যায় নবীজির প্রাণপ্রিয় সাহাবীদের জবানীতে। তন্মধ্যে হযরত জাবের ইবনে আবদুল্লাহ রাযি. এর বর্ণনা উল্লেখযোগ্য। বক্ষ্যমাণ পুস্তিকায় জাবের রাযি.-র বর্ণনা অবলম্বনে বিদায় হজের ধারাবাহিক সরল বিবরণী তুলে ধরা হয়েছে।
নবীজির বিদায় হজের বিবরণ উম্মতের জন্য অত্যন্ত গুরুবহ। হজের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য, রূহানিয়াত ও বিধি-বিধান জানার জন্য বিদায় হজ মূল উৎস। এজন্য যুগে যুগে বাইতুল্লাহর আশেকগণ বিদায় হজের বিবরণ স্ব স্ব ভাষায় লিখেছেন ও পড়েছেন। সর্বোপরি এর রঙে নিজেদের হজের সফরকে রাঙিয়ে তুলেছেন।
কিন্তু বাংলা ভাষায় বিদায় হজের বিবরণ সম্বলিত নির্ভরযোগ্য স্বতন্ত্র বই অপ্রতুল। তাই এ বিষয়ে স্বতন্ত্র গ্রন্থ প্রকাশ সময়ের গুরুত্বপূর্ণ দাবি ছিল। আলহামদুলিল্লাহ বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটির মাধ্যমে সে দাবি অনেকাংশে পূরণ হয়েছে বলে আমরা দৃঢ় আশাবাদী।
এ গ্রন্থের মূল লেখক হলেন শায়খ আবদুল্লাহ আল-বারনী, যিনি উপমহাদেশের বিখ্যাত মনীষী ব্যক্তিত্ব হযরত মাওলানা আশেক ইলাহী বুলন্দশহরী রহ এর সুযোগ্য সাহেবযাদা। গ্রন্থটি অনুবাদের ব্যবস্থা করেছেন মুআসসাসা ইলমিয়্যাহ বাংলাদেশ এর কর্ণধার, স্বপ্নদ্রষ্টা ও প্রাণপুরুষ হযরতুল উসতায মাওলানা তাহমীদুল মাওলা হাফিযাহুল্লাহ। আনন্দের বিষয় হলো, স্বয়ং উসতাযে মুহাতারামের পরিবার থেকেই অনুবাদ কর্ম সম্পাদন হয়েছে। আল্লাহ তাআলা উসতাযে মুহতারাম ও তাঁর পরিবারকে দীর্ঘ নেক হায়াত দান করুন, উম্মতের কল্যাণে আরো অনেক দূর এগিয়ে যাওয়ার তাওফীক দান করুন। আমীন।
ইতিপূর্বে এ মূল্যবান গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়েছিলো মাকতাবাতুল আশরাফ থেকে। এর দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশের সুযোগ লাভে মুআসসাসা ইলমিয়্যাহ পরিবার আল্লাহ তাআলার শুকর আদায় করছে।
নাম:নবীজীর হজ
লেখক : শায়খ আবদুল্লাহ আল-বারনী
অনুবাদ: উম্মু আবদুর রহমান
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৪৩
নির্ধারিত মূল্য : ০০
যে কোন প্রয়োজনে কল করুন: +880 1871-746798 (হোয়াটসঅ্যাপ)