ইসলাম আল্লাহ তাআলার মনোনীত সর্বশেষ দ্বীন। মধ্যপন্থা অবলম্বন এই দ্বীনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। কোরআন মাজীদে এই দ্বীনের অনুসারীদেরকে “উম্মাতে ওয়াসাত তথা মধ্যপন্থী জাতি হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। সুতরাং আকীদা-বিশ্বাস, আমল-আখলাক, রাজনীতি, সমাজনীতি, অর্থনীতি ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রে সর্বযুগেই হকপন্থী আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআত মধ্যপন্থার এই নীতি ও আদর্শ আঁকড়ে থেকেছেন। তাঁরা ইসলামী সিয়াসত (রাজনীতি) সম্পর্কে কোরআন-সুন্নাহর মূল বক্তব্য তুলে ধরেছেন, যা সাহাবায়ে কেরাম ও সালাফে সালেহীনের বুঝঝ-সমরা ও কর্মধারার মাধ্যমে সুপ্রতিষ্ঠিত।
পক্ষান্তরে দ্বীন ও শরীয়তের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি কিংবা শিথিলতার শিকার হয়ে খারেজী- রাফেজী, শিয়া-মু’তাজেলা ইত্যাদি বহু বাতিল ফেরকার উদ্ভব হয়েছে এবং যুগে যুগে তাদেরই মানস সন্তানেরা নতুন নতুন নামে ও মনোহরী শ্লোগানে আত্মপ্রকাশ করেছে, করে চলেছে এবং ইসলামের প্রান্তিক ব্যাখ্যা দিয়ে মুসলমানদেরকে বিভ্রান্ত করছে। অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় বর্তমানে এ ধরনের প্রাস্তিকতায় আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশী ।
খেলাফত, ইমারত ও রাজনীতি ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা। এ নিয়েও ‘বাড়াবাড়ি’ কিংবা ‘ছাড়াছাড়ি’ পরিলক্ষিত হয়। পশ্চিমা অপপ্রচারে প্রভাবিত, পরাজিত মানসিকতার শিকার এক শ্রেণীর বুদ্ধিজীবির ধারণা, ধর্ম ও রাজনীতি আলাদা বিষয়। ধর্মে রাজনীতি চর্চার সুযোগ নেই। রাষ্ট্র ও সরকার নিছক একটি জাগতিক বিষয়। ধর্মের আধ্যাত্মিক আঙ্গিনায় এর কোনো স্থান নেই।
উলামায়ে কেরাম ও ফোকাহায়ে ইজাম যুগে যুগে এই সকল প্রান্তিকতা ও অপব্যাখ্যা থেকে অবমুক্ত থেকে ইসলামকে স্বরূপে উপস্থাপন করেছেন। খেলাফত, ইমামত-ইমারত, রাষ্ট্র ও রাজনীতি ইত্যাদির স্বরূপ ও সঠিক অবস্থান, গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে কোরআন-হাদীস ও সীরাতের আলোকে উম্মতকে সঠিক নির্দেশনা দান করেছেন।
বক্ষ্যমাণ পুস্তকে ইসলামী রাষ্ট্র, রাজনীতি ও জিহাদে শরঈর সেই দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরার আপ্রাণ চেষ্টা করা হয়েছে।
————————–
বই: কোরআন-সুন্নাহর আলোকে রাষ্ট্র ও রাজনীতি
লেখক: মাওলানা আবু সাবের আবদুল্লাহ
সহযোগী লেখক: মাওলানা মাহমুদ হাসান মাসরূর
নির্ধারিত মূল্য: ৪৩০ টাকা