জামিয়াতুল উলূমিল ইসলামিয়ার মুহতামিম হযরত মাওলানা মুফতি মাহমুদুল হাসান (হাফিযাহুল্লাহ), মাওলানা তাহমীদুল মাওলা (হাফিযাহুল্লাহ), মাওলানা তাফহীমুল হক হবিগঞ্জী (হাফিযাহুল্লাহ)  প্রমুখ সম্প্রতি উজবেকিস্তান সফর  থেকে দেশে ফিরেছেন।

আজকের জুমার বয়ানে মাওলানা তাহমীদুল মাওলা (হাফিযাহুল্লাহ) এই সফরের সংক্ষিপ্ত কারগুজারি, অনুভূতি এবং শিক্ষনীয় কিছু দিক তুলে ধরেন। অনেকেই এই সফরের কারগুজারি শুনতে চেয়েছেন, তাই  এখানে সংক্ষেপে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরা হল।

= উজবেকিস্তানের সফর কোন প্রমোদভ্রমণ ছিল না, বরং ঐতিহাসিক স্মৃতিবিজড়িত স্থানসমূহ দর্শন এবং তাদের মর্মান্তিক ও বেদনাদায়ক ইতিহাস থেকে শিক্ষাগ্রহণের জন্য ছিল।

= দীনী ইলম এবং ইসলামী শিক্ষা ও গবেষণার এক সময়ের প্রাণকেন্দ্র, ইমাম বুখারী, তিরমিযীর দেশের বর্তমান চিত্র দেখে মনে হয়েছে আমরা আমাদের দেশের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা করা উচিত। দীন, ঈমান এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার দিকে বিশেষভাবে মনযোগ দেয়া উচিত। বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের দীন ও ঈমানের হেফাজতের বিষয়ে যোগপযোগি নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করা দরকার।

= উজবেকিস্তানের মুসলমানদের দীন, ঈমান এবং ইলমী হালত খুবই দুর্বল। আন্তর্জাতিকভাবে দাওয়াতি কাজে যারা আত্মনিয়োগ করেন তাদের উচিত এধরণের দেশসমূহে তাদের ভাষায় ব্যাপকভাবে দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করা।

 

তারা এই সফরে উজবেকিস্তানের কয়েকটি দীনী এবং ইলমী মারকায যিয়ারত করেন এবং সেসব প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীলগণ তাদেরকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান এবং কিতাব পত্র হাদিয়া ও সম্মাননা ক্রেস্ট  প্রদান করেন। এসব প্রতিষ্ঠান এবং কয়েকজন ইসলামিক স্কলারকে মুআসসাসা ইলমিয়্যাহ থেকে প্রকাশিত গুরুত্বপূর্ণ আরবী গ্রন্থাবলী হাদিয়া প্রদান করা হয়। বিশেষ করে মাওলানা আবদুল মতীন সাহেব রচিত তিরমিযী শরীফের অনন্য ব্যাখ্যাগ্রন্থ কিফায়াতুল মুগতাযী, মাওলানা তাহমীদুল মাওলা রচিত গবেষণা-গ্রণ্থ আল ইতিবার, মাওলানা আব্দুল মালেক সাহেবের জীবনী কালিমাত, সদ্য প্রকাশিত হযরত মাওলানা মুফতি তাকী উসমানী হাফিযাহুল্লাহর উলামাউ দিওবান্দ। তারা এসব গ্রন্থ দেখে বিমুগ্ধ হন এবং উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন।

উল্লেখযোগ্য কয়েকটি কারগুজারি:

১= তিরমিয শহরে ইমাম তিরমিযী রিসার্চ সেন্টারের (مركز الإمام الترمذي) সহকারী পরিচালক জনাব কিরাম উদ্দীন ও গবেষক ড. জুরাবেক ইবনে আমান তাদেরকে অভ্যর্থনা জানান। তারা এই প্রতিষ্ঠানে এক সেট কিফায়াতুল মুগতাযি হাদিয়া প্রদান করেন।

২= উজবেকিস্তানের একমাত্র হাদীস গবেষণা কেন্দ্র আল মাহাদুল আলী লিল হাদীস ওয়া উলূমিহ এর প্রধান জনাব আলেম ও মুহাম্মদ জোন তাদেরকে অভ্যর্থনা জানান। তারা এই প্রতিষ্ঠানেও এক সেট কিফায়াতুল মুগতাযি হাদিয়া প্রদান করেন।

৩= উজবেকিস্তানের কুরআন মাজীদ ও ইসলামী বইপত্র প্রকাশের একমাত্র অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান ঐতিহাসিক দারুল হিলাল এর পরিচালক ইসমাঈল সাদেক তাদেরকে অভ্যর্থনা জানান এবং নিজেদের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান এবং এর কার্যক্রম পরিদর্শন করান। তাদেরকে মুআসসাসার বইগুলো হাদিয়া প্রদান করা হয়।

৪= বুখারার সাবেক প্রধান কাজী (ইসলামিক) জনাব মীর আবদুল গাফফার তাদেরকে অভ্যর্থনা জানান এবং ইলমী ও দীনী বিষয় নিয়ে বৈঠক করেন। মেহমানদের পক্ষ থেকে তাকেও মুআসসাসার বইগুলো হাদিয়া প্রদান করা হয়।

 

এসব প্রতিষ্ঠান তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইট, ফেইসবুক পেইজ, টেলিগ্রাম চ্যানেলসহ বিভিন্ন মাধ্যমে বাংলাদেশী মেহমানদের সফরের সংবাদ ও তথ্যচিত্র প্রচার করে। নিচে কিছু লিংক দেয়া হল:

১= https://islom.uz/maqola/21244

২= https://www.facebook.com/100063503261538/posts/pfbid0pr9nW88SEwqnLqjBPiWtA5E97tsTsTDeDonvYyadEv7gwns1UWNwV7cdeC7uP2jml/?app=fbl

৩= https://termiziy.uz/uz/news/1412